প্রকাশিত: ২০:০৯, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ আপডেট: ২০:১২, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
ঢাকা-৮ আসনে নৌকার প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম শান্তিনগর এলাকায় গণসংযোগ করেন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক পেয়েই গতকাল নির্বাচনি প্রচারে নামলেও আনুষ্ঠানিকভাবে আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে পুরোদমে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ শুরু করেছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা রাজধানীজুড়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন, ভোট চাচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকার অলি-গলিতে এখন উৎসবের আমেজে নির্বাচনি প্রচার চলছে।
ঢাকা-৮ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী। নাছিমের সমর্থনে প্রচারপত্র বিলি করেছেন কর্মী-সমর্থকরা।
ঢাকা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. কামরুল হাসান যাত্রাবাড়ী এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সরাই মসজিদ রোড থেকে শুরু করে দনিয়া বড় মসজিদ হয়ে দনিয়া বাজার রোড দিয়ে বড় বাড়ি রাস্তা হয়ে দনিয়া ক্লাব দিয়ে গোয়াল বাড়ির মোড় এবং আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদ রোড হয়ে রসুলপুর দিয়ে আবার দনিয়া হতে সরাই রোডে এসে তার গণসংযোগ শেষ হয়।
কামরুল হাসান বলেছেন, শৈশব থেকে এ এলাকায় বড় হয়েছি। এখানকার সঙ্কট কী, সম্ভবনা কী, তা খুব কাছ থেকে দেখেছি। করোনা মহামারিসহ সব সময় তাদের পাশে থেকেছি। এই এলাকার মানুষকে আরও ব্যাপকভাবে সেবা দেওয়া ও উন্নয়ন করার জন্য ভোটের মাঠে আছি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এলাকার মানুষ আমাকে ব্যাপক ভোটে বিজয়ী করবে বলে আশা করি।
ঢাকা-১৭ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত মঙ্গলবার দুপুরে ক্যান্টনমেন্ট থানার অন্তর্গত কালীবাড়ি থেকে নির্বাচনি প্রচার শুরু করেন। তিনি বলেছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে সকল দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী যেন নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করতে না পারে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তারা যত ভোটের বিপক্ষে থাকবে, আমরা ততটাই ভোট বিপ্লব ঘটাব।
ঢাকা-১৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা আক্তার তুহিন নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনি এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। মঙ্গলবার তিনি রাজধানীর গাবতলী এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্দিয়া এলাকায় প্রচার চালান। এ সময় তার সঙ্গে বিপুল সংখ্যক এলাকার নেতাকর্মী ছিলেন।
ঢাকার প্রতিটি আসনেই আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্র এবং অন্যান্য দলের প্রার্থীদের প্রচারে মুখরিত ছিল।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার শুরু করার পর সকাল থেকেই নির্বাচনি প্রচার চালান প্রার্থীরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণার সময় পাচ্ছেন ১৯ দিন। আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন তারা। ৭ জানুয়ারি দেশের ৩০০ আসনে একযোগে হবে ভোট গ্রহণ।
৬৪টি জেলার রিটার্নিং অফিসার এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরের আসনগুলোর রিটার্নিং অফিসারদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, মোট মনোনয়ন দাখিলের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭১৬টি, বাছাইয়ে বাতিল হয়েছিল ৭৩১টি, আপিল দায়ের করেছিল ৫৬০টি এবং আপিল মঞ্জুর হয়েছিল ২৮৬টি ও আপিল নামঞ্জুর হয়েছিল ২৭৪টি। সারা দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে ৩৪৭টি, স্থগিত আছে ৫টি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৯০২ জন। এর মধ্যে পরে হাইকোর্টের রায়ে ৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এবার মোট ২৭টি দল ভোটে অংশ নিচ্ছে।
প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আচরণবিধি মেনে প্রার্থীদের প্রচার চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। প্রতীক বরাদ্দ ও প্রচারণা প্রসঙ্গে সচিব বলেছেন, আমাদের বার্তা একটিই—প্রত্যেক প্রার্থী যেন নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে প্রচার চালান।