ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এসময় এ কে আজাদের ঈগল মার্কার লিফলেট ছিনতাই করে নিয়ে যান তারা।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাহমুদপুর এলাকায় এ কে আজাদের সমর্থক রনি মোল্লা ও কাইয়ুম মোল্লাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আহত রনি মোল্লা ফরিদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে, বিকেল ৩টার দিকে পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজ্জাকের মোড়ে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুসরাত রাসুল তানিয়ার নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার পথরোধ করে হুমকি এবং ঈগল মার্কার লিফলেট ছিনতাই করেন শামীম হকের সমর্থকরা।
নুসরাত রাসুল তানিয়া বলেন, ‘আমরা ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বের হয়েছিলাম। আলীপুরের রাজ্জাকের মোড়ে আমরা উপস্থিত হলে শামীম হকের সমর্থক এজাজ খানের বাহিনী ৩০-৪০টি মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের ঘিরে ধরে। এসময় আমরা আলীপুরে এ কে আজাদ চাচার কোনো নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করতে পারবো না বলে চলে যেতে বলেন। ভবিষ্যতে এ এলাকায় প্রচারণা করতে এলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। এসময় আমাদের কাছে থাকা ঈগল মার্কার সব লিফলেট তারা ছিনতাই করে নিয়ে চলে যান। আমাদের নেত্রী চুমকির কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন।’
এরআগে মাহামুদপুর এলাকায় এ কে আজাদের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য স্থানীয় নান্নু মোল্লার ছেলে রনি মোল্লা ও কাইয়ুম মোল্লাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
এ বিষয়ে এজাজ খানের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গাফ্ফার হোসেন বলেন, দুটি ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগ দেওয়ায় নির্বাচন কমিশন ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করে। পরে আজ দুপুরে তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।