বিশেষ প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২: ০৬
বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্বাচনে আনতে তাঁদের মুক্তিসহ নানা বিষয় নিয়ে নিজের দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে এবার লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তাঁর পক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া এই ব্যাখ্যা পাঠান।
ব্যাখায় বলা হয়, কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যকে কোনো কোনো মহল বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে তাঁকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এই লিখিত ব্যাখ্যায় বলা হয়, ১৭ ডিসেম্বর নিজ বাসভবনে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে এবং গণমাধ্যমে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় তিনি গতকাল সোমবার তাঁর দপ্তরে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন। তিনি যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা এতটাই স্পষ্ট যে সেই বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো অবকাশ নেই।
বিএনপি নির্বাচনে আসুক, এমনটা আওয়ামী লীগ সব সময় চেয়েছে বলে ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, কৃষিমন্ত্রী সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, সেই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহল থেকে বিভিন্ন সময় বিএনপিকে শর্তহীন আলোচনার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিএনপি সে সুযোগ গ্রহণ না করে মানুষ হত্যা, পুলিশ হত্যা, হাসপাতাল ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মতো জঘন্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছে। আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চার ও নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এ অবস্থায় জড়িত সন্ত্রাসীদের ও সন্ত্রাসের মদদদাতাদের গ্রেপ্তার করা ছাড়া সরকারের কোনো উপায় ছিল না।
ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে বারবার আলোচনায় আসার, এমনকি নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েও দলটিকে নিয়ে নির্বাচন করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবু বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এসব উদ্যোগের সূত্র ধরেই কৃষিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য রেখেছেন।
কৃষিমন্ত্রীর ব্যাখ্যায় বলা হয়, নির্বাচন ভণ্ডুল করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য। বিএনপি যদি তাদের ভুল বুঝতে পেরে নির্বাচনে আসতে রাজি হতো, তাহলে তারা হরতাল, অবরোধ, অগ্নিসন্ত্রাস ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত হতো। তখন যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের জামিন পাওয়া সহজ হতো।
চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ব্যাখ্যায় বলা হয়, কৃষিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে কোথাও বলেননি যে এক রাতের মধ্যে বিএনপির সব নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তারপরও কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যকে কোনো কোনো মহল বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে তাঁকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। কৃষিমন্ত্রী আশা করেন, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং সত্য আপন জ্যোতিতেই উদ্ভাসিত থাকবে।